বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় প্রতিনিয়ত কাজ করছে পুলিশ বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সম্প্রতি আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের মূল হোতা শহিদুল ইসলাম শহিদ এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করেছে। এই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক চোরাই মোটরসাইকেল। ঘটনার খবর প্রকাশ পেতেই স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
![]() |
যশোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের হোতা ও চার সদস্য আটক। ছবি: সংগৃহীত |
যশোর প্রতিনিধি
যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের অন্যতম হোতা ও ৩০ মামলার আসামি শহিদুল ইসলাম শহিদ চক্রের আরও চার সদস্যকে আটক করেছে। একইসাথে তাদের হেফাজত থেকে সাতটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুলাই যশোর শহরের পালবাড়ি মোড় এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ এ চক্রের প্রধান হোতা নরেন্দ্রপুরের শহিদুল ইসলাম শহিদকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে আরও ছয়জনকে আটক করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় চারটি মোটরসাইকেল।
গোপালগঞ্জে অভিযান
ডিবি পুলিশ জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী, মুকসুদপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে আন্তঃজেলা চোরচক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—
-
কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে তামিম খান,
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মৃত আলমগীর শেখের ছেলে মুরসালিন,
-
একই উপজেলার সোনাকুড়া গ্রামের এনামুল শিকদারের ছেলে আজিম শিকদার,
-
কাশিয়ানী উপজেলার বাট্রাইধোবা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে হাসানুর রহমান।
তাদের হেফাজত থেকে দুটি ইয়ামাহা আর–১৫, তিনটি সুজুকি গিক্সার, একটি পালসার এবং একটি ইয়ামাহা এফজেড ভি৩ মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের প্রেস ব্রিফিং
শুক্রবার বিকেলে যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন,
“গত ৯ জুলাই যশোর শহরের পালবাড়ি মোড় এলাকায় চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির প্রস্তুতিকালে শহিদুল ইসলাম শহিদকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক এবং ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। চক্রের অন্যদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) আহসান হাবীব, ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।
আদালতে সোপর্দ
ডিবি পুলিশ জানায়, আটক চারজনকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের মধ্যে তামিম খান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তদন্ত অব্যাহত
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই রঞ্জন কুমার বসু জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উপসংহার
যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের মূল হোতা ও সহযোগীরা আটক হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পুলিশ বলছে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
প্রশ্ন: আটককৃত প্রধান আসামি কে?
উত্তর: নরেন্দ্রপুরের শহিদুল ইসলাম শহিদ, যার বিরুদ্ধে প্রায় ৩০টি মামলা রয়েছে।
প্রশ্ন: সর্বমোট কতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে?
উত্তর: এ পর্যন্ত ১১টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রশ্ন: আটক চারজনের মধ্যে কে জবানবন্দি দিয়েছেন?
উত্তর: গোপালগঞ্জের তামিম খান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ