![]() |
শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের |
✍️ সংবাদ প্রতিবেদন
আগামীকাল বুধবার সকালে আবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করার ঘোষণা দিয়ে আজকের মতো কর্মসূচি শেষ করেছেন প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকে পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ করার পর রাত আটটার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে সরে যান তাঁরা। এরপর রাজধানীর ব্যস্ততম ওই মোড় দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ জানান, তিন দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল সকাল ১০টায় আবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হবে। এ সময় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (রুয়েট) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা লংমার্চ করে শাহবাগে যোগ দেবেন। দাবি আদায়ে সেখান থেকে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকেও যাবেন।
📌 শিক্ষার্থীদের মূল দাবি
প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন—
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে "প্রকৌশলী" লিখতে দেওয়া যাবে না।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে নবম গ্রেডে উন্নীত করা যাবে না।
দশম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল তিনটা থেকে বুয়েটসহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
📌 আন্দোলনকারীদের বক্তব্য
অবরোধ চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সহসভাপতি শাকিল আহমেদ। তিনি অভিযোগ করেন—
"আমরা ছয় মাস ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।"
এ সময় সংগঠনের সভাপতি ওয়ালি উল্লাহ বলেন—
"ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে সরকার। আমরা সারাদিন সচিবালয়ে থেকেও কারও সঙ্গে বসতে পারিনি। বাধ্য হয়ে শাহবাগ অবরোধ করেছি।"
সংবাদ সম্মেলনে শাকিল আহমেদ আরও জানান, সম্প্রতি রংপুরে এক প্রকৌশলীকে আটকে রেখে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা এবং পূর্বের তিন দফা দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিও করেন তিনি।
📌 জনভোগান্তি
অবরোধ চলাকালে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শাহবাগ হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে অফিস শেষে ঘরমুখী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
সন্তানের চিকিৎসার জন্য বারডেম হাসপাতালে আসা তাসমিয়া রহিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—
"যাত্রাবাড়ী থেকে হাসপাতালে আসতে গিয়ে মৎস্য ভবন মোড়ে আটকে যাই। পরে সন্তানকে কোলে নিয়ে হেঁটে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও আন্দোলন হচ্ছে। এভাবে একটা শহর চলতে পারে না।"
0 মন্তব্যসমূহ