ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, এই নির্বাচন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি রিহার্সাল হিসেবে কাজ করছে।
➡️ আরও পড়ুন: দৈনিক যশোর 24 হোমপেজ
![]() |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। ছবি: সংগৃহীত |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন শান্তিপূর্ণ চলছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ডাকসু নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার সুযোগ নেই, তবে এই নির্বাচনগুলোকে জাতীয় নির্বাচনের একটি মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
নির্বাচন ভালোভাবে চলছে
উপদেষ্টা বলেন, ডাকসু নির্বাচন ভালোভাবে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা অবনতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমেও অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ প্রচার হয়নি। এটা আনন্দের খবর।
তিনি আরও জানান, ডাকসু ও জাকসুসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে নির্বাচনগুলো হচ্ছে, সেগুলো আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি রিহার্সাল হিসেবে কাজ করছে। ডাকসুর পর জাকসুসহ যে কয়েকটা নির্বাচন হবে, সেগুলোও ভালো পরিবেশে হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির সঙ্গে সংযোগ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে।
তিনি যোগ করেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ডাকসু নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। অনেক সময় ডাকসুর রাজনীতি জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব তৈরি করেছে। তাই এই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য আস্থা বাড়বে।
আরও বিস্তারিত পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন এবং জাতীয় রাজনীতির সংযোগ
ডাকসু নির্বাচনের ইতিহাস ও প্রভাব
ডাকসু নির্বাচন বাংলাদেশের শিক্ষার্থী রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জন করে। ১৯৭৩ সালে প্রথম ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এটি দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
-
ছাত্র নেতাদের উত্থান: অনেক ডাকসু সভাপতি পরে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়েছেন।
-
রাজনৈতিক সংস্কৃতি: নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে।
-
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ: সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করে।
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন যেমন ডাকসু, জাকসু বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নির্বাচন, এগুলোকে জাতীয় নির্বাচনের রিহার্সাল হিসেবে দেখা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে জাতীয় নির্বাচনের প্রতি আস্থা কমতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডাকসু নির্বাচন শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তারা বলছেন:
-
“ডাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলে ভবিষ্যৎ জাতীয় নির্বাচনের জন্য আস্থা বৃদ্ধি পাবে।”
-
“ছাত্র রাজনীতি জাতীয় রাজনীতির জন্য একটি পরীক্ষার মঞ্চ।”
তারা আরও যোগ করেছেন যে, ডাকসু নির্বাচনে যে কোনও সমস্যা বা সহিংসতা জাতীয় নির্বাচনের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করতে পারে।
প্রশ্ন ও উত্তর (Q&A)
প্রশ্ন ১: ডাকসু নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সংগঠন দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এটি পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতির জন্য একটি প্রস্তুতিমূলক মঞ্চ।
প্রশ্ন ২: ডাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হচ্ছে কি না?
উত্তর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন ভালোভাবে চলছে।
প্রশ্ন ৩: জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে ডাকসু নির্বাচনের সম্পর্ক কী?
উত্তর: ডাকসু নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের রিহার্সাল হিসেবে দেখা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের জন্য আস্থা বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ৪: আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে?
উত্তর: প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপসংহার
ডাকসু নির্বাচন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, পুরো দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের জন্য একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করে। এই নির্বাচন দেশের নাগরিকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি করে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আস্থা বাড়ায়।
আরও পড়ুন আমাদের হোমপেজে: দৈনিক যশোর 24
0 মন্তব্যসমূহ