![]() |
শাহবাগে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস! শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামবে না |
পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস
আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ থেকে যমুনা অভিমুখে যাত্রা ঘিরে তাঁদের ওপর পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার এবং লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন।
শাহবাগ অবরোধ ও যাত্রা
প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাঁরা বেলা দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা করেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পুলিশের হামলার পর তাঁরা বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আবারও শাহবাগে জড়ো হন। রাত সাড়ে ১০টার পর শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় ছেড়ে যেতে থাকেন।
তিন দফা দাবি
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
-
নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ ও ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার করা।
-
দশম গ্রেডে শুধু ডিপ্লোমাধারীরা নয়, উচ্চ ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন।
-
কেবল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্নকারীরাই ‘প্রকৌশলী (Engineer)’ লিখতে পারবেন।
চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর আন্দোলন
ঢাকায় পুলিশের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম শহরের ২ নম্বর গেট এবং রাজশাহীর তালাইমারী মোড়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। একই সময়ে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীদের ওপরও পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনা ঘটে।
বুয়েটের নিন্দা
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের বদলে পুলিশের এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যথাযথ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
রাত ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তদন্তের আশ্বাস দেন।
যানজট ও জনদুর্ভোগ
শাহবাগ অবরোধের কারণে আশপাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পরবর্তী কর্মসূচি
আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, বৃহস্পতিবার সারা দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘Complete Shutdown of Engineers’ কর্মসূচি পালন করা হবে। এদিন তাঁরা কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
0 মন্তব্যসমূহ