যশোর জেলার অভয়নগর থানা এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচিত। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ হত্যাকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনাগুলো এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে। তবে সম্প্রতি অভয়নগর থানা পুলিশ একের পর এক সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু আলোচিত অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো— সন্ত্রাসী আরমান আকুঞ্জি (৩১) গ্রেফতার, যে একাধিক হত্যা মামলা ও অস্ত্র মামলার আসামী।
![]() |
যশোরের অভয়নগরে পুলিশের সাড়াশি অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আরমান আকুঞ্জি আটক | Dainik Jashore 24। ছবি: সংগৃহীত |
👉 এর আগে যশোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতাকে আটক করা হয়েছিল— বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
অভয়নগরে সাড়াশি অভিযান: কীভাবে শুরু?
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার অভয়নগর থানার ওসি তদন্ত শুভ্র প্রকাশ দাস, বাশুয়াড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি রইসুল ইসলাম ও এসআই সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি যৌথ টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানটি পরিচালিত হয় ফুলতলা বাজারের শ্বশুরবাড়ি এলাকায়, যেখানে লুকিয়ে ছিল কুখ্যাত সন্ত্রাসী আরমান আকুঞ্জি। দীর্ঘদিন ধরে সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে ছিল।
👉 অভয়নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আরও জানতে পড়ুন — ডাকসু নির্বাচন ও জাতীয় রাজনীতির সংযোগ।
সন্ত্রাসী আরমান আকুঞ্জির প্রোফাইল
আটককৃত আরমান আকুঞ্জি যশোরের শুভরাড়া ইউনিয়নের শুভরাড়া গ্রামের মিঠু আকুঞ্জির ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলা রয়েছে।
সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হলো— ইউপি সদস্য নুরুল হত্যা মামলা, যেখানে আরমান এজাহারভুক্ত আসামী।
অস্ত্র উদ্ধার অভিযান
আরমানকে আটক করার সময় পুলিশের হাতে আসে একটি ওয়ান শুটার গান ও একটি দেশীয় অস্ত্রের যন্ত্রাংশ।
👉 সম্প্রতি মাদারীপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার খবরও আলোচিত হয়েছিল — পুরো খবর পড়ুন।
শামিম হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার
এদিকে একই সময়ে অভয়নগর থানা পুলিশ শামিম হত্যা মামলার আসামীদেরও গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো:
বাবুরহাট এলাকার বাবু শেখের ছেলে নাইম শেখ (২৫)
-
একই এলাকার মজিদ গাজীর ছেলে মিজান গাজী (২১)
👉 সম্প্রতি যশোরের মণিরামপুরে স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাও আলোচনায় ছিল — খবরটি পড়ুন।
পুলিশের বক্তব্য
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন:
“আমাদের থানা এলাকায় কোনো প্রকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ কিংবা মাদক কারবারির স্থান হবে না। যেকোন মূল্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের সাড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে, তারই অংশ হিসেবে অস্ত্রসহ আরমানকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি শামিম হত্যা মামলার তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
অভিযানের পর স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
👉 এ রকম আরেকটি ঘটনায় যশোরে কিশোরী অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছিল — বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
উপসংহার
অভয়নগরে পুলিশের সাম্প্রতিক এই অভিযান প্রমাণ করে যে—আইনের বাইরে কেউ নয়। যত বড় অপরাধীই হোক, শেষ পর্যন্ত তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে।
এই অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার ও আলোচিত মামলার আসামিদের গ্রেফতারের মাধ্যমে অভয়নগরে আবারো স্বস্তি ফিরেছে।
প্রশ্নোত্তর (Q&A)
প্রশ্ন: সন্ত্রাসী আরমান আকুঞ্জি কে?
উত্তর: সে যশোরের শুভরাড়া গ্রামের মিঠু আকুঞ্জির ছেলে। ইউপি সদস্য নুরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।
প্রশ্ন: অস্ত্র কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে?
উত্তর: ফুলতলা বাজারের শ্বশুরবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়ান শুটার গান ও দেশীয় অস্ত্রের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
প্রশ্ন: শামিম হত্যা মামলার আসামিরা কারা?
উত্তর: নাইম শেখ (২৫) ও মিজান গাজী (২১) নামের দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রশ্ন: পুলিশের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ কী?
উত্তর: ওসি রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
0 মন্তব্যসমূহ