Header Ads Widget

যশোরে অনলাইন জুয়োয় বুঁদ, আইন মানছে না কেউ | যশোর সংবাদ

যশোরে অনলাইন জুয়োয় বুঁদ, আইন মানছে না কেউ | যশোর সংবাদ

সাইবার সুরক্ষা আইনে অনলাইন জুয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ আইনে দুই বছরের জেল ও কোটি টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে। তবুও লোভে পড়ে শিক্ষার্থী ও তরুণেরা এই ফাঁদে পা দিচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

শিক্ষার্থী ও যুবক অনলাইন জুয়োয় আসক্ত
যশোরে মোবাইল ও কম্পিউটারে অনলাইন জুয়া চলছে — ছবি: সংগৃহীত দৈনিক যশোর 24

অনলাইন জুয়োয় বুঁদ যশোরাঞ্চল, আইনের কঠোর শাস্তিও মানছেন না কেউ

স্টাফ রিপোর্টার

দুই বছরের কারাদণ্ড কিংবা কোটি টাকার জরিমানার ভয়ও থামাতে পারছে না যশোরের অনলাইন জুয়াড়িদের। জেলা ও আশপাশের অঞ্চলে অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ সাইবার স্পেসে জুয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। শত শত এজেন্ট ও মাস্টার এজেন্ট মাঠে সক্রিয়, আর অর্ধশতাধিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চক্র।

আইপিএল, বিপিএল, সিপিএলসহ বিভিন্ন অনলাইন টুর্নামেন্টের মাধ্যমেও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শহর থেকে গ্রাম—যশোরের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এই নেশা ছড়িয়ে পড়েছে। সহজে অর্থ উপার্জনের লোভে স্কুল–কলেজ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়সী মানুষও জুয়োয় আসক্ত হয়ে পড়ছেন।

আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে

সম্প্রতি অনলাইন জুয়ার নেশায় পড়ে হৃদয় দেব (১৮) নামের এক যুবক হেরে আত্মহত্যা করেছেন। সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের দৌলতদিহি গ্রামের বাসুদেব কুমারের ছেলে হৃদয় ফার্মেসিতে কাজ করতেন। পরিবার মনে করছে, অনলাইন জুয়া হেরে যাওয়াই আত্মহত্যার কারণ।

পুলিশি অভিযান ও গ্রেপ্তার

শার্শা থানা পুলিশ সাত জুয়াড়িকে আটক করেছে। তারা হলো—রফিকুল ইসলাম (৪৭), জুবায়ের হোসেন (৫০), আক্তারুল ইসলাম (৩৪), বাবু (৩৪), নেদা (৫০), আব্দুল লতিফ (৬০) ও মানিক ঢালী (৩৮)। এছাড়া যশোর ডিবি পুলিশ আগেও একাধিক চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে।

জনপ্রিয় সাইট ও বিস্তার

শতাধিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া চলছে। এর মধ্যে ডটওআরজি, ক্রিকায়া ডটআইও, বাংলাবেট ডটনেট, ওয়ানএক্সবেট, জয়টি২০ ডটকম, জেটবাজ ডটকম, জয়া৯৯ ডটকম, ক্রিকেস ডটটিভি ইত্যাদি। জেটবাজ ডটকম মাসে ৭৬ লাখ বার বাংলাদেশ থেকে সার্চ হচ্ছে।

আইন ও অভিযান

সাইবার সুরক্ষা আইনে অনলাইন জুয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দুই বছরের জেল এবং কোটি টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে। পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে, আটক ও মামলা চলছে।

📌 আরও পড়ুন:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ